তারিখ প্রদর্শন
লোগো

সাবেক স্বৈরাচার হাসিনার আমলে নিম্নমানের গম আমদানি নিয়ে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা জন্ম দিয়েছে তীব্র সমালোচনার। ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিতে সরকারি নীতিমালা পরিবর্তন করে নিম্ন মানের গম আমদানি করে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার হাতিয়ে নিয়েছেন ৪ হাজার কোটি টাকা ।

২০১৯ সালে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর সাধন চন্দ্র মজুমদার রাশিয়া থেকে নিম্নমানের গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেন। এরপর দুই বছরে প্রায় ১১ লাখ টন এমন গম আমদানি করা হয়। যার গুণগত মান ছিল আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের নিচে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গমে প্রোটিনের মাত্রা কম থাকায় তা স্বাস্থ্যঝুঁকিরও কারণ।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমা শাহিন জানান, ‘গমে প্রোটিনের মাত্রা ১১.৫ শতাংশ হলে আর্দ্রতা বেড়ে জীবাণুর পরিমাণ বাড়ে। যা আহারে ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি থাকে।’

এদিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘সরকারিভাবে নিয়ম পরিবর্তন করে নিম্নমানের গম কেনা একটি গুরুতর দুর্নীতি। এর মাধ্যমে জনগণের অর্থের অপচয় করা হয়েছে।’

গম ক্রয় প্রক্রিয়ায় সরকারের জি-টু-জি নীতিমালা ভঙ্গ করে গম কেনায় দুই ব্যবসায়ী ভাই মিঞা সাত্তার ও আমিরুজ্জামান সোহেলের প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁরা সাধন চন্দ্র মজুমদারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তাঁদের প্রভাব রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

খাদ্য অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রতি টন গমের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ২০২ ডলার থাকলেও সাধন চন্দ্রের আমলে বাংলাদেশে তা ২৮০ ডলারে কেনা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *