পানি পানের উপকারিতা সম্পর্কে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি, সান ফ্রান্সিসকোর (UCSF) গবেষকেরা ১৮টি পূর্ববর্তী গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, প্রচুর পরিমাণে পানি পানের ফলে স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান শুধু তৃষ্ণা মেটানো বা শরীর সতেজ রাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যার ঝুঁকিও কমাতে সহায়ক। বিশেষত কিডনির পাথর প্রতিরোধে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখে।
পানি পানের উপকারিতা
গবেষণায় উঠে এসেছে, পানি পান ওজন কমানো, মাইগ্রেন বা তীব্র মাথাব্যথা প্রতিরোধ এবং মূত্রনালির সংক্রমণ কমাতে সহায়ক হতে পারে। এছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা রয়েছে।
শরীরে পানির ঘাটতির প্রভাব
গবেষণা অনুযায়ী, শরীরে পানির ঘাটতি বা পানিশূন্যতা দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগ এবং আয়ু কমানোর সঙ্গে সম্পর্কিত। শরীরকে ঠান্ডা রাখা এবং বিষাক্ত উপাদান দূর করতে পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই শরীর থেকে যে পরিমাণ পানি বেরিয়ে যায়, তা পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর পরামর্শ অনুযায়ী, পুরুষদের প্রতিদিন প্রায় ৩.২ লিটার এবং নারীদের ২.৭ লিটার পানি পান করা উচিত। তবে এটি ব্যক্তির শরীর, বয়স এবং পরিবেশ অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ
পানি পানের ক্ষেত্রে ‘এক নিয়ম সবার জন্য’ প্রযোজ্য নয়। কারও জন্য বেশি পানি পান প্রয়োজন হতে পারে, আবার অন্যদের জন্য কম পান করাই যথেষ্ট হতে পারে। ডা. ব্রেয়ার সবাইকে তাদের শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পানের পরামর্শ দেন এবং এ বিষয়ে সঠিক তথ্যের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে বলেন।
সূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট