ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রায় ৪০ ট্রিলিয়ন বা ৪ লাখ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময় হওয়া এই চুক্তি দেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তির শর্তগুলো একপাক্ষিক এবং বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর।
চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে আদানি পাওয়ারের ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত ১,৪৯৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। এখান থেকে ন্যূনতম ৩৪% বিদ্যুৎ নেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে কম বিদ্যুৎ নিলেও পুরো দামের অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
চুক্তির আওতায় শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ বাংলাদেশকে সোয়া ২ লাখ কোটি টাকা দিতে হবে। এর পাশাপাশি বাড়তি কয়লার দামে প্রায় পৌনে ২ লাখ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
ঝাড়খণ্ডের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাংলাদেশের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে বিদ্যুতের দাম এবং শর্তাবলী সম্পূর্ণ আদানি গ্রুপের পক্ষে। বিদ্যুৎ না নিলেও বাংলাদেশকে এর জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে। এটি দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্যে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ্য, এই চুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৭ সালে। তৎকালীন বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব শেখ ফয়েজুল আমীন, সচিব আহমেদ কায়কাউস এবং পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালিদ মাহমুদ এর সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট অনেক কর্মকর্তাই পলাতক।
দেশের অর্থনীতি রক্ষায় এই চুক্তি বাতিলের দাবি তুলেছেন অনেকেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে এই চুক্তি বাতিলের পদক্ষেপ নেওয়া।
এই চুক্তির কারণে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। অনেকেই মনে করছেন, দেশের স্বার্থবিরোধী এই চুক্তি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করতে করা হয়েছে।
সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এর নেতিবাচক প্রভাব দেশকে দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সংকটে ফেলতে পারে।







