আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের আলটিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। একই সঙ্গে সংগঠনটি একটি জাতীয় সরকার গঠন, আওয়ামী লীগের সহযোগীদের গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
আজ রোববার ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা এসব দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো খুনিদের বিচার হয়নি। বরং বিপ্লবী দলগুলোর ওপর হামলা চালানো হচ্ছে, হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন আওয়ামী লীগকে শেল্টার দিচ্ছে, যা আমাদের জন্য অশনি সংকেত।’
এছাড়াও সংগঠনটি ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ হবে এবং ১০ ফেব্রুয়ারি জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আন্দোলনে যারা আহত হয়েছে, তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সেটি না করে আহতদের রাজপথে নামতে বাধ্য করা হচ্ছে। এটি সরকারের বড় ব্যর্থতা।’
বিন ইয়ামিন মোল্লা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেভাবে প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের ব্যবহার করে সুবিধা আদায় করছে, তা বিপ্লবের মূল লক্ষ্যকে বাধাগ্রস্ত করছে। এদিকে ৫৭২ জন আওয়ামী সহযোগীকে জামিন দেওয়া হয়েছে, যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। এমন বিচারকদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে ছাত্র অধিকার পরিষদ সচিবালয় অভিমুখে লং মার্চ করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, ঢাবি শাখার সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলামসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।