পশ্চিম তীরের তুলকারম শহরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানে তিন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এ ছাড়া ৫০ জনের বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ৩ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিষয়টি স্বীকার করেছে।
বিবৃতিতে সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ‘তুলকারমে চলমান অভিযানে এখন পর্যন্ত তিনজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে এবং ৫০ জনের বেশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তবে ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শহীদ হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সাধারণ নাগরিক। দখলদার ইসরায়েলি সেনারা নির্বিচারে অভিযান চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার কৌশল হিসেবে ইসরায়েলি সেনারা দাবি করছে, তারা সন্ত্রাসীদের উত্থান ঠেকাতেই এই অভিযানগুলো পরিচালনা করছে। তারা বলছে, তুলকারমে অভিযান চালিয়ে তারা একটি বিস্ফোরক তৈরির কারখানা পেয়েছে। এ ছাড়া সেনাদের ওপর হামলার জন্য পুঁতে রাখা প্রায় ৪৫টি বোমা ধ্বংস করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় তারা ‘সন্ত্রাস দমন’ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে এবং ইসরায়েলি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় ৭০ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৮ জনই শহীদ হয়েছেন জেনিন শহরে।
গত ২১ জানুয়ারি ইসরায়েলি বাহিনী জেনিন শহর ও শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযান শুরু করে। এতে ২৫ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হন। এরপর তুলকারমেও অভিযান শুরু করে দখলদার সেনাবাহিনী। সেখানে আরও তিনজন ফিলিস্তিনি শহীদ হন।
এদিকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী জেনিন শরণার্থী শিবিরের বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকা ধ্বংস করে দিয়েছে। এছাড়া সেনারা ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া সহ রাস্তাঘাট গুঁড়িয়ে দিয়েছে এবং বহু বাসিন্দাকে জোর করে ঘরছাড়া করেছে।
জেনিনের গভর্নর কামাল আবু রুব জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় শহরের অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি