হিজবুল্লাহ। লেবাননের এই সশস্ত্র সংগঠনকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বেসরকারী সামরিক বাহিনী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের পর মার্কিন-ইসরায়েল জোটের সবচে’ বিরোধিতাকারী এবং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রভাবের বিরুদ্ধে সর্বাধিক সক্রিয় বিবেচনা করা হয় লেবাননের এই সশস্ত্র সংগঠনটিকে।
হিজবুল্লাহর যোদ্ধা সংখ্যা
২০২২ সালে সিআইএ’র এক প্রতিবেদনে বলা হয় হিজবুল্লাহর যোদ্ধা সংখ্যা ৪৫ হাজার। যার মধ্যে সক্রিয় যোদ্ধা প্রায় ২০ হাজার এবং রিজার্ভ যোদ্ধা ২৫ হাজার। কিন্তু ২০২১ সালে হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল এক বিবৃতিতে জানান, যে তাদের কাছে ১ লাখ যোদ্ধা আছে। রয়েছে এক বিশাল ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডার।
হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা
২০২২ সালে সিআইএ’র প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বল্পপাল্লা ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মিলিয়ে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র সংখ্যা দেড় থেকে দুই লাখ পর্যন্ত হতে পারে। হিজবুল্লাহ দৃঢ়তার সাথে বলেছে, তাদের কাছে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দিয়ে সমগ্র ইসরায়েলেই আক্রমণ করা সম্ভব। সেই সাথে হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগারে রয়েছে বহু দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এক বিশেষ অস্ত্র। হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র তালিকা:
- ইরানের তৈরি ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী গাইডেড মিসাইল ‘আলমাস’।
- জেরুসালেম পোস্টের বরাতে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন টিআরটি এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হিজবুল্লাহর কাছে রয়েছে দেড় লাখ হাউন মর্টার শেলের এক বিশাল ভান্ডার।
- ৮০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম ৬৫ হাজার স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র।
- ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে আক্রমণের মতো ৫ হাজার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র।
- ৮০ কিলোমিটার থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরত্বসীমার ৫ হাজার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র।
- দুই হাজার ড্রোন।
হিজবুল্লাহর বিস্তৃত টানেল নেটওয়ার্ক
ফরাসি সংবাদপত্র ‘লিবারেশন’ এর তথ্যানুযায়ী, হিজবুল্লাহ ১৯৮০ এর সময় থেকে সামরিক টানেল তৈরি শুরু করে। ধারণা করা হয়, বর্তমানে সেই টানেল নেটওয়ার্ক শত শত কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। এবং সে টানেলগুলো ইসরায়েল ও সিরিয়া পর্যন্তও পৌঁছতে পারে। অবশ্য হিজবুল্লাহ সবচে’ নিকটবর্তী প্রতিপক্ষ ইসরায়েলও কম শক্তিধর নয়।
ইসরায়েলের উল্লেখযোগ্য অস্ত্র
ইসরায়েলের আছে আমেরিকা থেকে প্রতি বছর পাওয়া ৩.৩ বিলিয়ন ডলারের বিশাল সামরিক সহযোগিতা। আরো আছে এফ-৩৫ স্টিলথ ফাইটার, ক্ষেপণাস্ত্র ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম সিস্টেম, মারকাভা ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যানসহ একটি সুগঠিত ড্রোনবহর।
সূত্র: আল আরাবি ও টিআরটি