তারিখ প্রদর্শন
লোগো

হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে চলছে নানামুখী আলোচনা৷ মিডিয়ায় উঠে আসছে প্রতিবেদন, ফিচার ও মতামত।

সম্প্রতি এ বিষয়ে ইসরায়েলি মিডিয়াগুলো অনেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের মতে, হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার সিক্রেট অপারেশনটি ইসরায়েলের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

ইসরায়েলি চ্যানেল-১৩ এর সামরিক সংবাদদাতা অর হেলারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অপারেশনের মূল লক্ষ্য ছিল— নাসরুল্লাহকে হত্যার মাধ্যমে লেবানন ও গাজা উপত্যকাকে কৌশলগতভাবে আলাদা রাখা। হেলার জানান, নেটজারিম সামরিক ঘাঁটির কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অ্যামিচাই লেভিন এই অপারেশটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নাসরুল্লাহ ৭ই অক্টোবরের ঘটনার পর লেবানন ও গাজার যুদ্ধ ফ্রন্টগুলিকে সামরিক ও কৌশলগতভাবে একীভূত করে রেখেছিলেন।

অপারেশনটি সফল করতে ইসরায়েলের সব গোয়েন্দা সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করেছে। তবে সামরিক গোয়েন্দাদের ভূমিকা বিশেষভাবে ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তারা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিমান বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়।

কান চ্যানেলের সামরিক বিশ্লেষক রয় শ্যারন জানান, অপারেশনটি অত্যন্ত গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়। এ অপারেশন পরিচালনার জন্য পাইলটরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পাইলটদেরকে টার্গেট সম্পর্কে জানানো হয়নি।

চ্যানেল-১৩ এর রাজনৈতিক বিশ্লেষক গিল তামারি জানিয়েছেন, এর আগে লেবানন সীমান্তে উত্তেজনাকে গুরুত্ব না দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আগেই সংকেত দেয়া হয়েছিল যে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবেন । এরপর বুধবার মিনি-ওয়ার কাউন্সিলের বৈঠকে নাসরুল্লাহকে হত্যার অপারেশন নিয়ে আলোচনা হয় এবং সেই সময়ই অপারেশনটি চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তামারি বলেন, নেতানিয়াহুর নিউইয়র্ক যাত্রা মূলত বিভ্রান্তিমূলক কৌশল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

ইয়েদিউথ আহরোনোথের সাংবাদিক শিমন শেফার জানিয়েছেন, নেতানিয়াহু সরাসরি এ অপারেশনে অংশ না নিলেও অনেক গুরুত্ব সহকারে এটার তত্ত্বাবধান করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *