নদীয়ার ইসলাম নামে ভিন্ন এক ধারার ইসলাম ও এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ইসলামপন্থীদের মাঝে চলছে আলোচনা সমালোচনা। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সহকারী মাহফুজ আবদুল্লাহর এমন একটি চিন্তাকে কেন্দ্র করে তরুণ ইসলামি চিন্তকদের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে৷
আজ ইসলামি ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ নদীয়া ইসলামকে নাকচ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে আহমাদুল্লাহ লিখেন, পৃথিবীতে ইসলাম একটাই। অঞ্চল ভেদে ইসলামে কখনো পরিবর্তন হয় না। নদীয়ার ইসলাম বলতে আলাদা কোনো ইসলাম নেই। কোনটা ইসলাম আর কোনটা ইসলাম নয়, সেটা নির্ণয় করার নিক্তি কুরআন ও সুন্নাহ। এটা বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের কাছে স্বীকৃত বিষয়।
পোস্টে তিনি আরও লিখেন, ইসলামের বেলায় আজ যারা প্রকৃত ইসলামের কথা না বলে নদীয়ার ইসলামের কথা বলেন, সব ক্ষেত্রে কি তারা সেটা করেন? গণতন্ত্রের বেলায় তারা প্রকৃত গণতন্ত্র খোঁজেন, নাকি মামলা-হামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে দমন ও রাতের ভোটের প্রচলিত দেশীয় গণতন্ত্রের কথা বলেন?
পৃথিবীতে ইসলাম একটাই। অঞ্চল ভেদে ইসলামে কখনো পরিবর্তন হয় না। নদীয়ার ইসলাম বলতে আলাদা কোনো ইসলাম নেই। কোনটা ইসলাম আর কোনটা ইসলাম নয়, সেটা নির্ণয় করার নিক্তি কুরআন ও সুন্নাহ। এটা বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের কাছে স্বীকৃত বিষয়।
————————
গণতন্ত্রের জন্ম ইউরোপে। কিন্তু আমাদের দেশের প্রচলিত গণতন্ত্র আর ইউরোপের গণতন্ত্রের মাঝে রয়েছে বিস্তর ফারাক। যারা ইসলামকে আঞ্চলিকতায় বিভাজিত করেন, তারা কি ইউরোপের প্রচলিত গণতন্ত্রের বিপরীতে বাংলাদেশের প্রচলিত আঞ্চলিক গণতন্ত্রের কালচারকে ধারণ করার কথা বলেন?
দেশের জনগণের দিকে ইশারা করে তিনি আরও লিখেন, তাছাড়া, এদেশে নদীয়ার তথাকথিত ইসলামকে ধারণ করা মানুষের সংখ্যা ১% ও হবে না। এর বিপরীতে প্রায় ৯৯% মুসলমান আরবের ইসলাম তথা কুরআন-হাদিস বর্ণিত ইসলামে বিশ্বাস করেন। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের ওপর তারা কোন ইসলাম চাপিয়ে দিতে চান?
কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে নদীয়ার কথিত ও বিকৃত ইসলামকে ধারণ করেন, সেটা তার ব্যাপার। কিন্তু সেই ইসলামকে যদি সবার উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয় এবং সেটাকেই বাংলাদেশের ইসলাম বলা হয়, তবে তা বিনোদনের আইটেম হতে পারে, কিন্তু ইসলাম নয়।