বিশ্বজুড়ে মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্রের কথা উঠলে ইরানের কথা সবার আগে আলোচনায় আসে। গত কয়েক দশকে ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিতে ইরান বেশ উন্নতি সাধন করেছে। ইরানের অস্ত্র ভাণ্ডারে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে তা নিম্নরূপ:
কাদির–১
এটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল। সর্বপ্রথম ২০০৭ সালে এ মিসাইল উন্মোচন হয়। ১,৯৫০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম এ মিসাইলটির দৈর্ঘ্য ১৬.৬ মিটার। ব্যাসার্ধ ১.২৫ মিটার। নিক্ষেপের সময় এ মিসাইলের ওজন ১৯ টন পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি ৮০০ গ্রাম ওজনের ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম।
ফাত্তাহ–১
এটি শব্দের চেয়েও দ্রুত গতিসম্পন্ন হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল। ১,৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম এই মিসাইলের এর দৈর্ঘ্য ১৩ মিটার। ২০২৩ সালের জুন মাসে সর্বপ্রথম এর ব্যবহার শুরু হয়। এটি বায়ুমণ্ডলের ভেতরে বাহিরে উচ্চ গতিতে উড়তে পারে।
ফাত্তাহ–২
এটিও হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল। সর্বপ্রথম এ মিসাইলের ব্যবহার শুরু হয় ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে। শব্দের গতির চেয়েও অধিক দ্রুত এ মিসাইল ১,৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে পারে। এর দৈর্ঘ্য ১৫ মিটার। ওজন প্রায় ১২ টন। এ মিসাইল ইসরায়েলের এরো-২ ও এরো-৩ সিস্টেম ধ্বংসের জন্য ব্যবহার করা হয়। এই মিসাইল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ভেদ করতে সক্ষম।
সিজ্জিল
এয়ার টু এয়ার এই মিসাইলটি ওজনে প্রায় ৫০০ কেজি। ৪০ সেন্টিমিটার ব্যাসের এই মিসাইল ২,৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম এই মিসাইল ১৯৮৮ সালের এপ্রিল মাসে সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয়। ৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এই মিসাইল শব্দের গতির তুলনায় ২ থেকে ৫ গুণ দ্রুত উড়তে পারে। উল্লেখ্য, শব্দের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৩৪৩ মিটার।
ইমাদ
এটি একটি সারফেস টু সারফেস ব্যালিস্টিক মিসাইল। মিসাইলটি পারমাণবিক ওয়ারহেড ও ৭৫০ কেজি পর্যন্ত সাধারণ ওয়ারহেড বহন করতে পারে। এর দৈর্ঘ্য ১৬.৫ মিটার। সর্বপ্রথম ব্যবহার হয় ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। এটি ১,৭০০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম। এর ব্যাসার্ধ ১.৩৮ মিটার।
শিহাব–৩
এটি একটি মাঝারি পাল্লার মিসাইল। ১.৩৮ মিটার ব্যাসার্ধের এই মিসাইল ১,৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি পারমাণবিক বা প্রচলিত ওয়ারহেড বহন করতে পারে। এর সর্বপ্রথম ব্যবহার শুরু হয় ২০০৩ সালে। শিহাব-৩ মিসাইলটির দৈর্ঘ্য ১৬.৫৮ মিটার। নিক্ষেপের সময় এটি ১৭ টন ৪১০ কেজি পর্যন্ত ওজনের হয়ে থাকে।
সূত্র: আল আরাবি