নিউজনেস্ট

সুদানে ভয়াবহ বিমান হামলায় ২৩জন নিহত

সুদানে ভয়াবহ বিমান হামলায় ২৩ জন নিহত 
যুদ্ধের ফলে বাস্তচ্যুত হওয়ার পর শরণার্থী তাঁবুতে মায়ের সামনে শুয়ে আছে একটি ক্ষুধার্ত শিশু। ছবি: রয়টার্স

সম্প্রতি সুদানের রাজধানী খার্তুমে বিদ্রোহী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের প্রধান ক্যাম্পগুলোকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে সুদানের সেনাবাহিনী। সুদানের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানকারী যুব সংস্থা ‘গুরফা তাওয়ারি’ অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে দেয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, এই হামলার ফলে র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের ক্যাম্প সংলগ্ন একটি বাজারে ২৩ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৪০ জনেরও বেশি বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছে। আহতদেরকে পরে রাজধানী খার্তুমের ৩টি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার সুদানী সেনাবাহিনীর পক্ষে যুদ্ধরত একজন সৈন্য নীল নদের সাদা ও নীল অংশের সংযোগ এলাকা মুকরিনে সুদানি সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে হওয়া প্রচণ্ড সংঘাতের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, সুদানের সেনারা সুদানের রাজধানী খার্তুমের মুকরিন এলাকায় সুদান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের কাছে স্বল্প ও মাঝারি অস্ত্র দিয়ে বিদ্রোহী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের সদস্যদের উপর গুলি চালাচ্ছে।

সংঘাতের প্রধান তিন ক্ষেত্র

সুদানে সাম্প্রতিক দিনগুলোয় সবচেয়ে বেশি সংঘাত হচ্ছে রাজধানী খার্তুমের মুকরিন এলাকায়। নীল নদের সাদা ও নীল অংশের সংযোগস্থল এই এলাকায় বিদ্রোহী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের পজিশনে এ পর্যন্ত বহুবার আক্রমণ চালিয়েছে সুদানের সেনাবাহিনী।

অন্যদিকে চলতি বছরের জুনের শেষে, মধ্য সুদানের সেনার প্রদেশের  কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল জাবাল মুয়ার নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস। ফলে বন্ধ হয়ে যায় নীল আবইয়ায, কর্দোফান এবং দারফুর রাজ্যের সরবরাহ পথ। সরবরাহ পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস সেনার প্রদেশের বেশিরভাগ শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য এলাকা ছিল সেনার প্রদেশের রাজধানী ‘সিনজা’।

তবে গত সপ্তাহে সুদানের সেনাবাহিনী প্রচণ্ড যুদ্ধের পর কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ  অঞ্চল জাবাল মুয়া পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দেয়। এর আগে রাজধানী খার্তুমের কিছু এলাকাও পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছিল সুদানের সেনাবাহিনী।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিলে রাষ্ট্র ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে সুদানের সেনাবাহিনী এবং র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের মধ্যে শুরু হয় তুমুল লড়াই। ইতোমধ্যে এই সংঘাতে হাজারের অধিক হতাহতের পাশাপাশি লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সংঘাতের ফলে সুদানী জনগণের মধ্যে দুর্ভিক্ষ ও বিভিন্ন রোগের বিস্তার ঘটেছে।

এখন পর্যন্ত সংঘাত না থামলেও গত সেপ্টেম্বরে জেনেভায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা হয়। তবে সেই আলোচনা ব্যর্থ হলেও যুদ্ধরত উভয় পক্ষ থেকেই মানবিক সাহায্য আসার পথ নিরাপদ রাখার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি মিলেছে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত