আজ ১৪ই অক্টোবর রবিবার উত্তর ইসরায়েলের হাইফা শহরের বেনিয়ামিনা এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গোলানি ব্রিগেডের একটি সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৪ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৬৭ জন আহত হয়েছে। হামলার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়েছে।
অপরদিকে হিজবুল্লাহর হাই কমান্ডের সূত্রে জানা গেছে, হাইফার বেনিয়ামিনা এলাকায় পরিচালিত হামলায় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে সরাসরি আঘাত হানতে সক্ষম এমন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, লেবানন-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবার হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এত কঠিন হামলা চালানো হল।
হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ ইসরায়েল
এদিকে ইসরায়েলি সংবাদপত্র ‘ইসরায়েল টুডে’ এবং ইসরায়েলি আর্মির রেডিওর বরাতে জানা গেছে, ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিজবুল্লাহর ড্রোনগুলো শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই সাথে হামলার পূর্বে হাইফায় কোন সতর্ক সাইরেনও বাজেনি। অবশ্য ইতোমধ্যে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যর্থতার কারণ উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: দ্য টাইমসের নিবন্ধ: যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের গোপন সম্পর্কের অজানা অধ্যায়
এর বাইরে ইসরায়েলি টিভি চ্যানেল টুয়েলভ এবং ইসরায়েল ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন জানিয়েছে, হামলায় ব্যবহৃত হিজবুল্লাহর ড্রোনগুলো মূলত উত্তর ইসরায়েলের গ্যালিল অঞ্চল লক্ষ্য করে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের সাথে সংযুক্ত করে ছোঁড়া হয়েছে। তাই কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা গেলেও ড্রোনগুলোকে আটকানো যায়নি। ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও দিতে পারেনি কোনরূপ পূর্বাভাস।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনসূত্রে জানা গেছে, হাইফার সেনা ক্যাম্পে হিজবুল্লাহর জোড়া হামলার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সাফেদ এবং আপার গ্যালিলের বাসিন্দাদের সুরক্ষিত স্থানের কাছাকাছি থাকতে এবং কোথাও জমায়েত তৈরি করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র: ইসরায়েলি প্রেসের বরাতে আল জাজিরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link