২০২৩ সালের ১১ই অক্টোবর। এ দিন সাঁজোয়া যানসহ ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ায় অনুপ্রবেশ করে একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা জুড়ে কৃষিজমি ধ্বংস করে সেই জমিকে ইসরায়েলি সীমান্তের সাথে সংযুক্ত করা হয়। এমনকি কাঁটা তারের বেড়া বসায় ইসরায়েল। কিন্তু জবরদখলের পুরো সময়টুকুতে সিরিয়ান সেনাবাহিনী কোনো ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তোলেনি।
অভিযানের পটভূমি
ইসরায়েলের এই সামরিক অভিযান শুরু হয়েছিল ৩রা অক্টোবর থেকে। সে সময় অনেকদিন ধরে সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের কাছাকাছি ইসরায়েলি বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। পরে ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ার কিছু সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করে এবং অত্যন্ত দ্রুততার সাথে কৌশলগত এলাকাগুলোয় তারা অবস্থান গ্রহণ করে। তবে সেই সময়ের অভিযানের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: লাগাতার ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়া সীমান্তে লেবানিজ শরণার্থীদের ঢল
সিরিয়ার প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে সিরিয়ার সরকার বেশ নীরব ছিল। ইসরায়েলের এই অভিযান চলাকালে সিরিয়ার সরকার বাহিনী এবং রিপাবলিকান গার্ড সদস্যরা হঠাৎ করেই গোলান অঞ্চল থেকে পিছু হটে আসে। সিরিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। যা বিভিন্ন মহলে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।
তুরস্কের সতর্কবার্তা
ইসরায়েলের এই আগ্রাসনে তুরস্ক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকলে তারা দামেস্ক পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে, যা তুরস্কের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি আরও বলেন, তুরস্কের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন হলে তুরস্ক চুপচাপ বসে থাকবে না। সিরিয়ায় ইসরায়েলের এই সামরিক তৎপরতা মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল ও সিরিয়ার মধ্যে সংঘর্ষের ইতিহাস পুরোনো। তবে সিরিয়ার তরফ থেকে প্রতিরোধহীনতা এবং তুরস্কের সরাসরি উদ্বেগ মধ্যপ্রাচ্যের এই অঞ্চলে একটি জটিল ও সংবেদনশীল পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।
সূত্র: নুন পোস্ট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link