লেবাননে চলমান ইসরায়েলি বিমান হামলার ফলে দক্ষিণ ও পূর্ব লেবানন থেকে সিরিয়া সীমান্তে আশ্রয় নিচ্ছে শত শত মানুষ। সম্প্রতি ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার ও সোমবারের হামলা থেকে বাঁচতে প্রায় ৫০০ শরণার্থী সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে।
এ বিষয়ে সিরিয়ার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, সোমবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শরণার্থীরা লেবাননের আলকুসায়ার ও আলদাবুসিয়া সীমান্ত দিয়ে সিরিয়ায় প্রবেশ করে। এদের মধ্যে অনেকেই হোমসের গ্রামাঞ্চল, হোমস শহর এবং দামেস্কের উপকণ্ঠে তাদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
দামেস্ক-বৈরুত সড়কে যাত্রী পরিবহনকারী চালক ওসামা বিলাল বলেন, লেবাননের আলমাসনা সীমান্তে তিনি বহু লেবানিজ গাড়ির ভিড় লক্ষ্য করেছেন। এসব গাড়িতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি যাত্রীদের ঠাসাঠাসি অবস্থায় দেখা যায়।
এদের মধ্যে মাক্কি পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। যারা বা’লাবাক থেকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উত্তরে জেন আলআবিদিনে তাদের আত্মীয়দের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ ব্যাপারে মাক্কি পরিবারের সদস্য ফরাস মাক্কি (৩৯) জানান, বা’লাবাকের প্রতিটি গ্রাম ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে এবং গ্রামগুলোতে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। অধিকাংশ পুরুষ সেখানে থেকে গেলেও মহিলা এবং শিশুদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফরাস মাক্কি ২০০৬ সালের জুলাই যুদ্ধের সময় বৈরুত থেকে পালিয়ে আসা একজন ব্যক্তি। তার ভাষ্য, ‘আমরা ২০০৬ সালের যুদ্ধের সময় যা দেখেছি, তার তুলনায় গতকালের অভিজ্ঞতা আরও ভয়াবহ।’
এদিকে লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফরাস আলবাইদ জানিয়েছেন, ইসরায়েলের টানা দুই দিনের বিমান হামলায় ৫৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, তাদের হামলা হিজবুল্লাহর সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ইসরায়েলি হামলার সময় প্রায় ২,৫০,০০০ লেবানিজ সিরিয়ায় পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে প্রায় ৭০,০০০ শরণার্থী পরবর্তীতে তৃতীয় কোনো দেশে চলে গেলেও, বাকিরা সিরিয়ায় আত্মীয়দের বাড়ি বা সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিল।
সূত্র: এএফপি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link