সম্প্রতি তালেবান সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, গত দুই বছরে ৬২ হাজারেরও বেশি ভিক্ষুকের তালিকা সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তানের ভিক্ষুক অনুসন্ধানকারী কমিটি। দেশব্যাপি ভিক্ষাবৃত্তি রোধ করা এবং দরিদ্র ও অসহায় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যেই এই অনুসন্ধান চালানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, তালিকাভুক্ত ভিক্ষুকদের মধ্যে মাত্র ২৭ হাজার ৭১৫ জন ব্যক্তিকে প্রকৃতপক্ষে অভাবী চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ পুরো তালিকার মাত্র ২৭ হাজার ৭১৫ জন ব্যক্তি অর্থনৈতিকভাবে অসহায় এবং তাদের সহায়তা প্রয়োজন। অপরদিকে, তালিকার ৩১ হাজার ১২৬ জন ব্যক্তিই ভিক্ষাবৃত্তিকে নিজেদের জন্য পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এছাড়া তালিকার বাকিরা ছিল এতিম শিশু এবং মাদকাসক্ত। যাদের আবার প্রয়োজন পুনর্বাসন ও বিশেষ সহায়তার।
এদিকে পূর্বোল্লিখিত প্রতিবেদন থেকে পাওয়া প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভিক্ষুকদের একটি বড় অংশ কাবুল, নানগারহার, এবং হেরাত প্রদেশ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। ৫৮ হাজার ৮৪১ জন কাবুল থেকে, ১,২২৭ জন নানগারহার থেকে, এবং ১,০৭১ জন হেরাত থেকে এসেছে। আর বাকিদের আফগানিস্তানের অন্যান্য প্রদেশ যেমন পাকতিয়া, লাঘমান, পারওয়ান, খোস্ত, নিমরোজ, ফরিয়াব, এবং সামানজান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
অপরদিকে ইসলামিক আমিরাত জানিয়েছে, দরিদ্র ও সহায়তাপ্রত্যাশী ব্যক্তিদের মাসিক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। যেই ভাতা তাদের জীবনে ভিক্ষাবৃত্তির প্রয়োজনীয় হওয়ার মানষিকতা দূর করতে সাহায্য করছে এবং তাদের জন্য একটি স্থিতিশীল জীবনযাত্রা নিশ্চিত করছে। ফলে আফগানিস্তানে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে ভিক্ষুকের সংখ্যা।
উল্লেখ্য, ভিক্ষাবৃত্তি নির্মূলে আফগানিস্তানের এই উদ্যোগ দেশটির সরকারের দৃঢ় ও কার্যকরী পদক্ষেপের একটি নিদর্শন। এছাড়া এটি আফগানিস্তানের সামাজিক সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যা দীর্ঘমেয়াদে দেশটির দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়নে সহায়ক হবে।
সূত্র: ইয়াকিন নেটওয়ার্ক