তারিখ প্রদর্শন
লোগো

গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র বিমান হামলায় অন্তত ৩৪ জন ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন। গাজা সরকারের গণমাধ্যম দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মধ্য গাজার মাগাজি অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১১ শিশু।

এছাড়া মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ‘নুসাইরাত শহিদ স্কুলে’ আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুতদের লক্ষ্য করে দখলদার ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়ে শিশুসহ ১৭ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে।

গাজার গণমাধ্যম দপ্তর জানিয়েছে, নুসাইরাতের ওই স্কুলে হাজারো নারী শিশু  আশ্রয় নেওয়ার কথা জেনেই দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। ফলে এই হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ১৯৬ এ পৌঁছেছে।

ইসরায়েলি বাহিনী নৃশংস হামলা চালিয়েছে গাজার জাবালিয়া শরনার্থী শিবিরেও খোদ দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তারা গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে বহু ফিলিস্তিনিকে হত্যার পাশাপাশি ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে।

এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পরিপূর্ণ ধ্বংস করার লক্ষ্যে হাসপাতালগুলোর ওপর হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছে হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ। ফলে হুমকির মুখে পরেছে ২.৪ মিলিয়ন ফিলিস্তিনির জীবন।

উল্লেখ্য, ৭ই অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলের চলমান এই আগ্রাসনে ইতোমধ্যে ১ লক্ষ ৪৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন। এবং এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তবে ইসরায়েলি বাহিনীর এই আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে কুদস ব্রিগেড ও হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেডসহ বিভিন্ন প্রতিরোধ সংগঠন প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *