বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে আদানি গ্রুপ। ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় আদানি গ্রুপ পরিষ্কারভাবে জানায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বরং উল্টো বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
আদানি পাওয়ারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য কোনো আল্টিমেটাম দেওয়া হয়নি। আদানি গ্রুপ আরও জানায়, বকেয়া পরিশোধ নিয়ে পিডিবির সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং তারা সমঝোতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে আগ্রহী।
এছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ কারী প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে মূলত কয়লা আমদানির এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) নিয়ে কিছু জটিলতা ছিল, যা খুব শিগগিরই কেটে যাবে। এলসি সমস্যা সমাধান হলে, আদানি পাওয়ারের বন্ধ থাকা দ্বিতীয় ইউনিট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। আর যদি পিডিবি চলতি সপ্তাহে আংশিক পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করে, তবে পুরোদমে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় শুরু করা সম্ভব হবে।
এদিকে, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, আদানির পাওনা পরিশোধের বিষয়ে আগামীকাল সোমবার কিছু অর্থ প্রদান করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও জানান, এস আলমের বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে। পাশাপাশি মাতারবাড়ি ও রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও দ্রুত উৎপাদন শুরু করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির কারণে পর্যায়ক্রমে বকেয়া পরিশোধ করা হয়। শুধু আদানি নয়, আরও বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়াও বিদ্যমান। এগুলো মূলত আগের সরকারের সময়ে গৃহীত চুক্তির অংশ হিসেবে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক চাপের ফসল।
উল্লেখ্য, আদানি গ্রুপের বক্তব্য ও পিডিবির উদ্যোগ নতুন করে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি জনগণকে স্বস্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।