সম্প্রতি প্রিমিয়ার ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখায় বিশাল অঙ্কের আর্থিক জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর তদন্তে জানা গেছে, ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভুয়া রপ্তানি এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রায় ৩,০৮১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, ভুয়া সেই রপ্তানিতে আমদানি করা কাঁচামালের পরিমাণ রপ্তানির তুলনায় অনেক বেশি দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে ৯০% কাঁচামাল স্থানীয় বাজার থেকে কেনা হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে নিয়ম বহির্ভূত। এরই সাথে ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে ঋণের টাকার সমন্বয় করা হয়েছে। অথচ প্রকৃত রপ্তানি বলতে কিছুই ঘটেনি। এমন পরিস্থিতিতে এই জালিয়াতির অভিযোগের তীর ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের দিকে রয়েছে।
ইতিমধ্যেই প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক শহীদুল হাসান মল্লিকসহ ব্যাংকটির কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় এসব কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। সেই সাথে এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এদিকে এ ঘটনা ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ পর্যবেক্ষণ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের জ্ঞাত থাকার ব্যাপারে জানা গেছে। তবে নানা কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে।
বিএফআইইউ’র তদন্তে আরও জানা যায়, সুনির্দিষ্ট ঋণ সীমার বাইরে ৪৩টি প্রতিষ্ঠানে ঋণ প্রদান করেছে প্রিমিয়ার ব্যাংক। অথচ এখনো ব্যাংকটির অনাদায়ী রয়ে গেছে ৬০০ কোটিরও বেশি টাকা । এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যেই দুদকে চিঠি দেয়া হয়েছে এবং দ্রুত আইনগত পদক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে।