সম্প্রতি গাজায় চলমান সংঘর্ষে ইসরায়েলি বাহিনী ও প্রতিরোধ যোদ্ধোদের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধের চিত্র উঠে এসেছে।ইসরায়েলি চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ বছর বয়সী ইসরায়েলি সেনা আমিটি আর্গামান এই সংঘর্ষের অন্যতম শিকার। গাজায় প্রবেশকারী প্রথম সেনাদের মধ্যে থাকা আর্গামান গুরুতর আহত হন এবং তার বেঁচে ফেরার গল্প যেন এক অলৌকিক ঘটনা।
‘যুদ্ধ ছিল অত্যন্ত তীব্র’
আমিটি আর্গামান বলেন, ‘গাজায় লড়াই ছিল ভীষণ তীব্র। প্রতিরোধ যোদ্ধোরা হঠাৎ করে আমাদের আক্রমণ করত। হ্যান্ড গ্রেনেড ফেলে আমাদের দলে হতাহতের সংখ্যা বাড়িয়ে তুলত!’
তিনি আরও জানান, ‘একবার তারা একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। আমরা বাড়ির ভেতরে ছিলাম দশজন। হঠাৎ একটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তের মধ্যে চারজন মারা যান, বাকিরা আহত হন। আমিও তাদের মধ্যে ছিলাম। আমার সঙ্গীরা কোনোমতে আমাকে টেনে নিয়ে আসে, আর সেই মুহূর্তে আমি বেঁচে যাই,!’
অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও অপূরণীয় ক্ষতি
এই হামলায় আমিটি আর্গামানের দুই পা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। চিকিৎসকরা বাধ্য হয়ে তার পা কোমরের কাছ থেকে কেটে ফেলেন, যা একটি বিরল চিকিৎসা-পদ্ধতি। শুধু তাই নয়, তার চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ঘাড়েও গুরুতর আঘাত লাগে।
গাজায় যুদ্ধরত এই তরুণ সেনার জীবনযুদ্ধ এখন হাসপাতালে চলছে। তার এই অভিজ্ঞতা গাজার সংঘর্ষের ভয়াবহতা এবং যুদ্ধের নির্মম বাস্তবতাকে আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে।
সূত্র: ইসরায়েলি চ্যানেল ১২
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link