গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল বারশ গতকাল উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় এমন অস্ত্র ব্যবহার করছে যার ফলে মানুষের দেহ ভস্মীভূত হয়ে যাচ্ছে।
তিনি জানান, দখলদার বাহিনী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহে বাধা দেওয়ায় উত্তর গাজায় সংঘটিত গণহত্যা সম্পর্কে তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
এদিকে গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্রও পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এই ঘটনাকে ‘সংগঠিত গণহত্যা ও জাতিগত নিধন’ বলে বর্ণনা করেন। তার মতে, দখলদার বাহিনী সিভিল ডিফেন্সের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় তারা উত্তর গাজার সাহায্যের আবেদনগুলোতে সাড়া দিতে পারছে না।
তিনি আরও জানান, গত ৫০ দিনে উত্তর গাজায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ আহত হয়েছে এবং প্রায় ৬০ হাজার মানুষ খাদ্য ও পানীয়ের সংকটে ভুগছে। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি অবরোধের কারণে আমরা উত্তর গাজার সঠিক অবস্থা সম্পর্কে খুব কমই জানতে পারছি। সেখানে পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে, এবং তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্যই নেই।’
গতকাল দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় দুটি ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছে। বেইত লাহিয়ায় সংঘটিত এই হামলায় প্রায় ৭৫ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
উল্লেখ্য, দখলদার ইসরায়েল টানা ১৪ মাস ধরে গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক এবং জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই হামলায় হাজারো মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া গাজার মানুষ এক ভয়াবহ মানবিক সংকট, খাদ্যাভাব এবং স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি।
সূত্র: আল জাজিরা