নিউজনেস্ট

উমাইয়া চত্বর দখল: দামেশকের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়

উমাইয়া চত্বর দখল: দামেশকের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়
উমাইয়া চত্বর দখল: দামেশকের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়। ছবি: আল জাজিরা

সিরিয়ার রাজধানী দামেশকের অন্যতম প্রধান ও প্রতীকী স্থান উমাইয়া চত্বর এখন বিদ্রোহী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। গত ৮ই ডিসেম্বর ভোরে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে একটি নতুন মোড় দেখা যায়, যখন বিদ্রোহী বাহিনী রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো যেমন উমাইয়া চত্বর, সশস্ত্র বাহিনীর সদর দপ্তর, গোয়েন্দা কার্যালয় এবং প্রেসিডেন্ট প্যালেস দখল করতে সক্ষম হয়।

ঐতিহ্য ও ইতিহাসের কেন্দ্র উমাইয়ান চত্বর

উমাইয়া চত্বর দামেস্কের বৃহত্তম এবং সর্বাধিক পরিচিত স্থানগুলোর একটি। এটি শুধু একটি সাধারণ চত্বর নয়; এটি শহরের কেন্দ্রবিন্দু। এটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে। চত্বরের অন্যতম আকর্ষণ হলো দামেস্কের তলোয়ার স্মারক। ১৯৬০ সালে উদ্বোধন হওয়া এই স্মারকটি সিরিয়ার ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতীক। এটি শিল্পকর্মের সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের মিশ্রণে সিরিয়ার গৌরবময় অতীতকে স্মরণ করায়।

উমাইয়া চত্বরের ঐতিহাসিক পটভূমি

চত্বরটির নামকরণ হয়েছে উমাইয়া পরিবারের নামে, যারা ইসলামি বিশ্বের প্রথম বৃহৎ খেলাফতের প্রতিষ্ঠাতা। ৬৬১ থেকে ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তারা দামেশককে তাদের রাজধানী হিসেবে ব্যবহার করেন। এটি ছিল সেই সময়ে খেলাফতের প্রশাসনিক এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, যা ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।

দামেশকে উল্লাসের দিন

সরকারের পতনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সাবেক প্রেসিডেন্ট রাশিয়ায় পালিয়ে যান। এরই মধ্যে উমাইয়া চত্বরে বিপুলসংখ্যক জনগণ জড়ো হন। তারা শহরের কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে স্বৈরাচার হাফিজ আল আসাদের মূর্তি ভেঙে ফেলে। এমনকি এটি স্বাধীনতার প্রতীকী উদযাপন হিসেবে চিহ্নিত হয়। উল্লাসে মুখরিত জনতা সিরিয়ার রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনের নতুন যুগের সূচনা উদযাপন করে।

নতুন ইতিহাসের সূচনা

উমাইয়া চত্বর, যা বহু যুগ ধরে সিরিয়ার ঐতিহ্য ও ইতিহাসের স্মারক হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিল, এবার স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। চত্বরটি আজ নতুন এক অধ্যায়ের সাক্ষী, যা ভবিষ্যতে সিরিয়ার পুনর্গঠন এবং নতুন সম্ভাবনার পথ তৈরি করবে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত