মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মংডুতে স্থল মাইনের বিস্ফোরণে তিন রোহিঙ্গা গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই বিস্ফোরণের জন্য আরাকান আর্মি (এএ) বা মিয়ানমার সেনাবাহিনী দায়ী।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটার দিকে মংডুর শ্বে জার গ্রামের গান্নাহ পাড়ায় বিস্ফোরণটি ঘটে। এতে নূর কাইদা (৩০), তার দুই বছরের শিশু শাহি আক্তার এবং কিয়াও মিন নাইং (২৮) গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, এই মর্মান্তিক ঘটনায় নূর কাইদার একটি পা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অন্য দুইজনের অবস্থাও সংকটজনক। তাদের অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।
এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মংডুতে সম্প্রতি একাধিক স্থল মাইনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এর আগের দিন ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬:৩০শে এক রোহিঙ্গা ব্যক্তি মাইন বিস্ফোরণে একটি পা হারান। এরপর ২৯ জানুয়ারি রাত সাতটার দিকে খুরশিদ আলম নামের এক ব্যক্তি তার বাড়ির সামনে স্থল মাইন বিস্ফোরণে আহত হন।
রোহিঙ্গাদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে?
স্থানীয়দের দাবি, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে মংডুতে মিয়ানমার সামরিক জান্তা অনুপস্থিত। পুরো এলাকাটি এখন সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির (এএ) নিয়ন্ত্রণে। তারা পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গা বসতিগুলোতে স্থল মাইন পুঁতে রাখছে এবং অন্যদের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
এর ফলে রোহিঙ্গারা আরও অনিরাপদ হয়ে পড়ছেন। দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার এই জনগোষ্ঠী এখন নতুন ধরনের সহিংসতার মুখে পড়েছেন।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বহুবার আহ্বান জানিয়েছে। তবে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, সংঘাতপূর্ণ এলাকায় আহতদের চিকিৎসা পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত নিপীড়ন ও সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়াতে হবে। অন্যথায় এই সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
সূত্র: রোহিঙ্গা ভিশন