এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর পুঁজিবাজারের তালিকায় বাংলাদেশ সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। বিভিন্ন সূচকের তুলনায় শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পুঁজিবাজার গত বছর তুলনামূলক ভালো পারফর্ম করেছে। অথচ বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করতে পারেনি।
দেশের পুঁজিবাজার ১৯৫৪ সালে যাত্রা শুরু করলেও, ছয় দশকের পথচলায় এখনো পরিপক্ক হয়ে ওঠেনি। বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই চিত্র ভিন্ন। বাজার মূলধন, লেনদেনের পরিমাণ ও বিভিন্ন সূচকে দেশের পুঁজিবাজারের অবস্থা আশানুরূপ নয়।
২০২৪ সালের শেষে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের মূলধন ছিল মাত্র ২ হাজার ৯৯৬ কোটি ডলার। যদিও এটি শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশি, তবে এশিয়ার অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতির তুলনায় অনেক কম। জিডিপির অনুপাতে বাজার মূলধনের দিক থেকেও বাংলাদেশ সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে, তবে কর্পোরেট সুবিধা কমে যাওয়ায় নতুন কোম্পানির পুঁজিবাজারে আসার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি।