নিউজনেস্ট

মগ সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি কর্তৃক নাফ নদী থেকে দুই কার্গো জব্দ

নাফ নদী থেকে দুই কার্গো জব্দ করল মগ সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি
নাফ নদী থেকে দুই কার্গো জব্দ করল মগ সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান গৃহযুদ্ধের প্রভাব এবার সরাসরি নাফ নদীর মোহনায়। সম্প্রতি বাংলাদেশের পণ্যবাহী দুটি কার্গো জব্দ করেছে মগ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন নদীতে কার্গো দুটি আটকে দেওয়া হয়।

টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওইদিন মিয়ানমার থেকে পণ্যবাহী তিনটি কার্গো আসার কথা ছিল। তবে তল্লাশির কথা বলে দুটি কার্গো নাফ নদীর মোহনায় জব্দ করে সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি। পরিস্থিতি আঁচ করে তৃতীয় কার্গোটি পেছনের পথে সেন্টমার্টিন দ্বীপে গিয়ে নোঙর করেছে।

জব্দ করা কার্গোগুলোতে আচার, শুঁটকি, সুপারি, ও অন্যান্য মালামালসহ প্রায় ৩০ হাজার বস্তা পণ্য রয়েছে। স্থলবন্দরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত ৮ ডিসেম্বর আরাকান আর্মি রাখাইনের মংডু টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে পণ্য পরিবহন কার্যত বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বর মিয়ানমার থেকে পণ্যবাহী জাহাজ টেকনাফে পৌঁছায়।

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির এই কর্মকাণ্ডে টেকনাফের বাণিজ্য কার্যক্রম একপ্রকার স্থবির হয়ে পড়েছে। বন্দর কর্মকর্তাদের মতে, আরাকান আর্মি মংডুর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মিয়ানমার থেকে পণ্যবাহী নৌযান আসা বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে নতুন করে দুটি কার্গো আটকের ঘটনা আরও উদ্বেগজনক।

এদিকে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানিয়েছেন, কার্গো বোটে তল্লাশির বিষয়টি তারা শুনেছেন। তবে এটি মিয়ানমারের জলসীমার ভেতরে হওয়ায় বিজিবি এখনো সরাসরি কোন হস্তক্ষেপ করতে পারেনি।

মিয়ানমারের চলমান অস্থিতিশীলতা এবং সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির অপতৎপরতা নিয়ে সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা জারি রয়েছে। টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, দীর্ঘমেয়াদে এই পরিস্থিতি পণ্য পরিবহনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমারের জলসীমায় বারবার এমন বাধার সৃষ্টি হলে দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য কঠিন সংকটে পড়তে পারে। বিশেষত, টেকনাফ স্থলবন্দরের মতো অঞ্চলে এই ধরনের জব্দের ঘটনা বাণিজ্যিক পরিবহনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে পরিস্থিতি উন্নতির অপেক্ষায় রয়েছে সংশ্লিষ্টরা। তবে সীমান্তের এমন উত্তপ্ত পরিবেশে স্থায়ী সমাধান খুঁজতে সময় লাগবে বলেই মনে করছেন সবাই।

নিউজনেস্ট ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত