বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম ও তার পরিবারের নামে থাকা ৩৬৮ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এই আদেশ দেন। দুদকের উপপরিচালক আবু সাইদ সম্পদ জব্দের এই আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে আদালত মঞ্জুর করেন।
কোন সম্পদ জব্দ করা হয়েছে?
জব্দ করা সম্পদের মধ্যে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গার জমি ও স্থাপনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম
- ১৮ নং ওয়ার্ড: ১.১৬৩৭ একর জমি। মূল্য ১.৩৭ কোটি টাকা
- পাথরঘাটা ইউনিয়ন: ৮.৫০ শতাংশ জমি। মূল্য ৩.৫৪ কোটি টাকা
- পটিয়া ও শিকলবাহা। বিভিন্ন ধরনের জমির মূল্য ১০০ কোটি টাকার বেশি
নারায়ণগঞ্জ
স্যাভোলা অয়েল লিমিটেডের ১.৩৮৫০ একর জমি ও সেমি-পাকা গৃহ, মূল্য ১২.১৭ কোটি টাকা
অন্যান্য জমি ও স্থাপনা: মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা
ঢাকা
- গুলশান-২: ১০ কাঠা জমি। মূল্য ২.৫০ কোটি টাকা
- তেজতুরি বাজার: ৯০.৮৮ শতাংশ জমি ও ভবন। মূল্য ৫৬.৯৬ কোটি টাকা
- ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা: ১ বিঘা জমি। মূল্য কয়েক কোটি টাকা
সব মিলিয়ে ৫৮.১৬ একর জমি ও স্থাপনা জব্দ করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা।
পাশাপাশি দুদকের অনুসন্ধানী রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাইফুল আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাসসহ বিভিন্ন দেশে এক বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা) পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশের শিল্পপতি সালমান এফ রহমানের বিভিন্ন সম্পদ জব্দ করা হয়েছিল। এবার এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত আরও জোরদার হয়েছে।
দুদকের মতে, এই সম্পদ স্থানান্তরের ঝুঁকি থাকায় আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত তা গ্রহণ করে জব্দের নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানিয়েছে, তারা এখন এস আলম পরিবারের বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্তে গতি আনবে। পাশাপাশি এই সম্পদের প্রকৃত মালিকানা ও উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধান চলানো হবে।