সম্প্রতি ইরানের আক্রমণে ইসরায়েলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইসরায়েলি ট্যাক্স অথরিটি অনুসারে, যুদ্ধের প্রথম দিকেই ইরানে পরিচালিত রকেট ও ড্রোন হামলায় ইসরায়েলের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ মিলিয়ন শেকেল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে তেলআবিবের উত্তরের ‘সি অ্যান্ড সান’ সমুদ্র সৈকত এলাকায়। সেখানে একটি রকেট আঘাত হেনে ৫০ মিলিয়ন শেকেলের বেশি ক্ষতি করে।

বেসামরিক স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি

ইরানের আক্রমণে ইসরায়েলের বেশ কিছু বিলাসবহুল রেঁস্তোরা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষত, ‘টারকোয়াজ’ রেস্তোরাঁ প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়াও, প্রায় ১৫০টি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাশারুন এলাকায় প্রায় ১০০টি অ্যাপার্টমেন্ট রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু একক ভবনের ক্ষতির পরিমাণই ১০ মিলিয়ন শেকেল ছাড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলে সৈন্যসহ নতুন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে আমেরিকা

সামরিক ক্ষয়ক্ষতি

‘ওয়াদ আস সাদিক-২’ অপারেশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইরান ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনাগুলোতে অন্তত ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। অধিকৃত ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিচালিত এই আক্রমণগুলো ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিতে বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে।

ইরানের বিপ্লবী গার্ডের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইব্রাহিম জাব্বারি জানিয়েছেন, ‘আমাদের এই আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের প্রধান সামরিক ঘাঁটি এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের ঘাঁটিগুলোতে আঘাত করা। আমাদের আক্রমণের ফলে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে।

ক্ষয়ক্ষতির সারসংক্ষেপ

ইসরায়েলে ইরানের হামলা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটি বড় রকেট ইসরায়েলের ওপর আঘাত হানে। যা সর্বাধিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এখন পর্যন্ত রকেট ও ড্রোন হামলা থেকে সরাসরি ইসরায়েলের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ বিলিয়ন শেকেল ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ হামলা ইরান ও লেবানন থেকে পরিচালিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *