সম্প্রতি রাশিয়া তালেবানকে সন্ত্রাসীর কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি মূলত রাশিয়ার পক্ষ থেকে কাবুলের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপনের একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তালেবানের শাসনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে রাশিয়া প্রথম দেশ নয়। এর আগেও কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান তালেবানের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে।
রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তের পেছনে কয়েকটি কারণ বিদ্যমান। প্রথমত, রাশিয়া মধ্য এশিয়ায় নিজেদের উপস্থিতি আরও মজবুত করতে চায়। দ্বিতীয়ত, পশ্চিমা বিরোধী বিভিন্ন স্বার্থের মিল থাকার কারণে রাশিয়া-তালেবানের মধ্যে একটি যৌথ সহযোগিতার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। তৃতীয়ত, আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগকে রাশিয়া একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে। বিশেষ করে আফগানিস্তানের দক্ষিণে তেল ও গ্যাসের মজুদ এবং মধ্যাঞ্চলে লিথিয়ামের বিশাল মজুদ রাশিয়া ও আফগানিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার দ্বার উন্মোচন করতে পারে। অর্থনীতিবিদ ইগর বেলস্কি বলেছেন, ‘রাশিয়া ও আফগানিস্তানের মধ্যে সহযোগিতা ও যৌথ উন্নয়নের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: কুরআন নির্ভর পদ্ধতিতে মাদকাসক্তি দূর করল আফগানিস্তান
তবে রাশিয়া এবং তালেবানের মধ্যে কিছু বিষয়ের মতবিরোধও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, সংখ্যালঘুদের বিষয়ে তালেবানের নীতির সাথে মস্কোর বিরোধিতা বিদ্যমান। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রাশিয়া কি এই বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো উপেক্ষা করে তালেবানের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক আরও জোরদার করবে, নাকি এই বিরোধগুলো আমলে নিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্কে রাশিয়া চিন্তাশীল পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, তা ভবিষ্যতই বলে দিবে।
সূত্র: আল জাজিরা