সম্প্রতি ইসরায়েলের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ পত্র ইয়েদিওথ অহরনোতের একটি প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে, ইসরায়েলের অস্ত্র সংকটের কথা। প্রতিবেদনে ইসরায়েলের বিখ্যাত ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি সংস্থা অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের সিইও বোয়াজ লেভির বক্তব্যের উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে গোলাবারুদের ঘাটতি পূরণ করতে পারছে না ইসরায়েল। তাই ইসরায়েলের তরফ থেকে এখন আমেরিকার কাছে তাদের অন্যতম আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘থাড’ সিস্টেম পাঠানোর জন্য তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।
ইসরায়েলের গোলাবারুদের গুরুতর সংকট
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ জোর দিয়ে বলছেন, ইসরায়েল যে গোলবারুদ সংকটে পড়েছে তা খুবই গুরুতর। বিশেষ করে এমন এক পরিস্থিতিতে, যখন ইরান ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ নিচ্ছে। এবং হিজবুল্লাহও দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলকে ছেড়ে কথা বলছে না। সুতরাং এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে অচিরেই ইসরায়েল আরো মারাত্মক অস্ত্র সংকটের মুখে পড়বে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের পক্ষে দৃঢ় সমর্থন কি অব্যাহত রাখবে দক্ষিণ আফ্রিকা?
ইসরায়েলের আরেক আতঙ্কের নাম হিজবুল্লাহ
এছাড়াও প্রতিবেদনে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা বাহিনীর সাবেক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাভিকা সিমোভিচের মতামত উল্লেখ করে বলা হয়, লেবাননে হিজবুল্লাহ অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পরও নিজেদের পুনর্গঠন করার পাশাপাশি সাম্প্রতিক ধাক্কা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টার করছে। সেই সাথে বৃদ্ধি করছে সামরিক সক্ষমতা। ফলে তীব্র অস্ত্র সঙ্কটে ভোগা ইসরায়েলের জন্য মূর্তমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে হিজবুল্লাহ।
প্রতিবেদনে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের একটি চরম স্বীকারোক্তিও উল্লেখ করা হয়। গ্যালান্ট বলেন, ইসরায়েল এখনও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও মার্কিন যুদ্ধবিমানের উপরই নির্ভরশীল। তাই ইসরায়েলকে এখন উৎপাদন বৃদ্ধি করে অস্ত্র সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সবশেষে ইসরায়েলি পত্রিকা ইয়েদিওথ অহরনোতের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েল এখন অস্ত্র ও গোলাবারুদ; বিশেষ করে প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্রের গুরুতর সংকটের সম্মুখীন। কারণ, ইরান ও হিজবুল্লাহর আক্রমণে ঠেকাতে ইসরায়েল এ ক্ষেপণাস্ত্রগুলোই ব্যবহার করে থাকে।
সূত্র: ইয়েদিওথ অহরনোতের বরাতে আনাল আরাবি