মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের বুথিডং টাউনশিপে রোহিঙ্গা গ্রামবাসীদের গ্রাম ছাড়ার আলটিমেটাম দিয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ)। এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে, না হলে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ জানুয়ারি, ইউনিফর্ম পরিহিত ও অস্ত্রসজ্জিত সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা বুথিডংয়ের পালি তাউং গ্রামে প্রবেশ করে। এরপর স্থানীয় প্রবীণদের সঙ্গে বৈঠক করে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়—গ্রামবাসীদের এক সপ্তাহের মধ্যে সবকিছু ছেড়ে চলে যেতে হবে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি (এএ) হঠাৎ গ্রামে আসে। প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলে এবং হুমকি দেয়—এই গ্রাম ছেড়ে চলে না গেলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। শুধু তাই নয়, মরদেহও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।’
এক গ্রামবাসী আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা কোথায় যাবো? আমাদের কোনো জায়গা নেই। আশপাশের গ্রামগুলোতেও আমাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের গ্রামে এখন মাত্র ১২টি পরিবার টিকে আছে। ২০১৭ সালে সামরিক জান্তার গণহত্যার সময় অধিকাংশ মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছিল। আর এখন যারা বেঁচে ছিল, তাদেরও উচ্ছেদ করছে আরাকান আর্মি।’
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর বছরের পর বছর ধরে নিপীড়ন চলছে। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের কারণে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তখন থেকে এখনো যারা টিকে ছিল, তারাও ক্রমাগত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, আরাকান রাজ্যে এখনো রোহিঙ্গাদের জীবন বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি কর্তৃক নতুন করে উচ্ছেদের মাধ্যমে আরও একটি মানবিক সংকট তৈরি হতে পারে।
সূত্র: রোহিঙ্গা ভিসন