নিউজনেস্ট

বিজিপি শাসিত হরিয়ানায় হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডব: মুসলিম মালিকানাধীন দোকানে হামলা ও লুটপাট!

বিজিপি শাসিত হরিয়ানায় হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডব: মুসলিম মালিকানাধীন দোকানে হামলা ও লুটপাট!
বিজিপি শাসিত হরিয়ানায় হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডব: মুসলিম মালিকানাধীন দোকানে হামলা ও লুটপাট! ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বিজিপি শাসিত হরিয়ানা রাজ্যের আম্বালায় মুসলিম মালিকানাধীন দোকানপাটে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা। পেহেলগামের হামলার পরদিন শনিবার এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাঁচ থেকে ছয়টি মুসলিম মালিকানাধীন দোকানে সহিংসতা চালানো হয়। হামলাকারীরা দোকানের মালপত্র রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে। ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং দোকানদার ও কর্মচারীদের নির্মমভাবে মারধর করে। এমনকি হামলার সময় সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক স্লোগানও দেওয়া হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে নেলসন রোড ও রাই মার্কেট উল্লেখযোগ্য। নেলসন রোডে শামা বিরিয়ানি শপ নামে একটি জনপ্রিয় দোকানের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলা হয় এবং ভেতরের জিনিসপত্র তছনছ করা হয়। পাশে একটি জুসের স্টল ও একটি ফুলের দোকান উল্টে ফেলে দেয়া হয়। এই সবগুলো দোকান মুসলিম মালিকানাধীন বলে জানা গেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার সময় হিন্দুত্ববাদী পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা হামলাকারীদের ঠেকাতে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। পুলিশের এমন নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

পেহেলগামে হামলার ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর কর্মীরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার স্লোগান দেয়। তবে তারা মূলত স্থানীয় মুসলিম ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, এই ধরনের সহিংসতা আসলে সংখ্যালঘুদের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ, যা সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে আরও তীব্র করছে।

এদিকে পুলিশ বলেছে, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এখনো দৃশ্যমান কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় মুসলিম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঘটনার পর তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অনেকেই ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকি কিছু বাসিন্দা শহর ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও করছেন।

মানবাধিকার কর্মীরা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও হামলাকারীদের প্রতি মৌন প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য তাদের কট্টর সমালোচনা করেছেন। তাদের দাবি, ভারতে মুসলিম সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

উপমহাদেশ ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত