ইসরায়েলি কারাগার থেকে শনিবার মুক্তি পাচ্ছেন ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দি। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৮ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং ৫৪ জন উচ্চ দণ্ডপ্রাপ্ত রয়েছেন। এছাড়া, ১১১ জন বন্দি গাজার বাসিন্দা, যাদের ৭ অক্টোবর ২০২৩-এর পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
গতকাল শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি হামাসের অধীনস্থ বন্দি তথ্য কার্যালয় একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ৭ জন মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিকে ফিলিস্তিনের বাইরে নির্বাসনে পাঠানো হবে।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে রয়েছেন:
– ফাতাহ আন্দোলনের ৫৪ জন।
– হামাসের ৮ জন।
– ইসলামিক জিহাদের ৬ জন।
– জনপ্রিয় ফ্রন্টের ২ জন।
– গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের ২ জন।
এদিকে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসাম ব্রিগেড শুক্রবার জানিয়েছে, বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় শনিবার তারা তিনজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে।
এক বিবৃতিতে কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেন, তুফানুল আকসার বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে আগামী শনিবার ১ ফেব্রুয়ারি আমরা নিম্নলিখিত তিনজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেব—
১. ওফের কালডরন
২. কিথ শিমন্সেল সিগাল
৩. ইয়ারদেন বিবাস
এটি ইসরায়েলের চতুর্থ দফার বন্দি মুক্তি। এর আগে, গত ২০ জানুয়ারি ৯০ জন নারী ও শিশুকে মুক্তি দেওয়া হয়। ২৫ জানুয়ারি ২০০ যাবজ্জীবন ও উচ্চ দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। ৩০ জানুয়ারি ১১০ জন বন্দি মুক্তি পান, যাদের মধ্যে ৩২ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত, ৪৮ জন উচ্চ দণ্ডপ্রাপ্ত এবং ৩০ জন শিশু ছিল।
চুক্তির প্রথম ধাপে মোট তিনটি পর্যায় রয়েছে, যার প্রতিটি ৪২ দিন ধরে চলবে। এতে গাজায় আটক ৩৩ ইসরায়েলিকে (জীবিত বা মৃত) মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ১,৭০০ থেকে ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে ‘গণহত্যা’ হিসেবে নিন্দিত হয়েছে।
এ সময় ১,৫৯,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া, ১৪,০০০-এর বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি