সুদানের সেনাবাহিনীর ছয় নম্বর পদাতিক ডিভিশনের সামরিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ফাশার শহরের তিনটি আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করেছে। এতে ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৩২ জন।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রোববার রাতে শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি আবাসিক এলাকা এই হামলার শিকার হয়।
এদিকে উত্তর দারফুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইব্রাহিম খাতির আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ফাশারের পশ্চিমাঞ্চলে গোলাবর্ষণে ১০ শিশু আহত হয়েছে। তাদের জামজাম শরণার্থী শিবিরে চিকিৎসা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থা মেডিসিনস সানস ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ)।
তিনি আরও বলেন, আহত শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ফাশারে স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ আরএসএফ পুরো শহর অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং যেকোনো যানবাহনকে ড্রোনের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে। তিনি এটিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ বলে অভিহিত করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ফাশারের বিভিন্ন এলাকা, শরণার্থী শিবির এবং হাসপাতাল বারবার গোলাবর্ষণের শিকার হয়েছে। এতে বহু বেসামরিক নিহত হয়েছেন। সেনাবাহিনী অভিযোগ করছে, আরএসএফ ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে। তবে আরএসএফ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত এই সংঘাতে ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তবে প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র: আল জাজিরা