নিউজনেস্ট

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আবারও আগুন, আতঙ্কিত শরণার্থীরা

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আবারও আগুন, আতঙ্কিত শরণার্থীরা
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আবারও আগুন, আতঙ্কিত শরণার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির-৪-এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন ও ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখে শিবিরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনাস্থল থেকে আরাকান নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদক জানিয়েছেন, শিবিরের ফায়ার সার্ভিস অফিসের কাছেই আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিস ও রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবকদের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ফলে আগুন আশেপাশের স্থাপনায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েনি। এতে একটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

শিবির কর্তৃপক্ষ এখন ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করছে এবং আগুন লাগার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতারা ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত সাড়া দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জরুরি সেবা আরও জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে শিবির-২২-এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গাদের মালিকানাধীন ৯টি দোকান পুড়ে যায়।

এছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে শিবির-৯-এ সোলার ব্যাটারি বিস্ফোরণে আগুন লাগলে দুটি ঘর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জানুয়ারিতে আরও দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে—শিবির-১৮-তে একটিতে একটি ঘর ও দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। অন্যদিকে শিবির-২৬-এ একটি মেয়ে শিশুর মৃত্যু হয় এবং ৫০টিরও বেশি ঘর পুড়ে যায়। এছাড়া ১০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আজ বারবার অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে শিবিরগুলোর অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ, অস্থায়ীভাবে তৈরি ঘরে অগ্নি-প্রবণ উপকরণ ব্যবহারে ঝুঁকি এবং অপ্রতুল অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা।

বর্তমানে কক্সবাজারে এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাস করছে। জাতিসংঘের মতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির হলো এটি। নিরীহ রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে বর্বর জান্তা বাহিনীর চালানো গণহত্যা থেকে বাঁচতে বিভিন্ন সময় পালিয়ে এসে এই শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।

উপমহাদেশ ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত