নিউজনেস্ট

অযোধ্যায় দলিত নারীকে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা!

অযোধ্যায় দলিত নারীকে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা!
অযোধ্যায় দলিত নারীকে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা! ছবি : মুসলিম মিরর

উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় এক ২২ বছর বয়সী দলিত নারীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার বিবস্ত্র দেহ গ্রামের পাশের একটি খালে পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি, তাকে গণধর্ষণ করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কেননা তার চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছিল, শরীরের একাধিক হাড় ভাঙা ছিল এবং তিনি গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত ছিলেন।

এ মর্মান্তিক ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক নেতারা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ওই নারী স্থানীয় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু তিনি আর ফেরেননি। পরদিন সকালে পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে তাকে খুঁজতে শুরু করেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান না পেয়ে তারা অযোধ্যা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি (এফআইআর) দায়ের করেন।

তবে পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তৎক্ষণাৎ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, যার ফলে গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হয়।

এরপর গতকাল শনিবার সকালে তার দুলাভাই পাশের একটি নির্জন খালে তার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। উদ্ধার করা দেহের অবস্থা ভয়াবহ ছিল—মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন, খুলি ফাটানো, হাত-পা শক্তভাবে বাঁধা এবং শরীরে একাধিক ক্ষত। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।

অযোধ্যার সার্কেল অফিসার অশ্বতোষ তিওয়ারি জানিয়েছেন, নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। এখন দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তাল হয়ে উঠেছে। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব প্রশাসনিক গাফিলতিকে দায়ী করেছেন। তিনি দোষীদের কঠোর শাস্তি এবং নিহতের পরিবারের জন্য ১ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

এ ঘটনার ফলে আবারও ভারতের দলিত নারীদের প্রতি সহিংসতার ভয়াবহ বাস্তবতা সামনে এসেছে। মানবাধিকার কর্মীরা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন। এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত