বাংলাদেশ থেকে ফেরত যাওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ২০টি পরিবারকে আটক করেছে সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি। আটক হওয়া এসব পরিবার পশ্চিম মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মংডু শহরের ‘শোয়ে ঝা’ গ্রামের বাসিন্দা।
গত শনিবার ২৬শে এপ্রিল তাদের সেনা ক্যাম্পে ডেকে নিয়ে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে এএনএ’র স্থানীয় সংবাদদাতা। ’পরিবার যাচাই’ নামে এক অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের ডাকা হলেও এখনো তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি। ফলে পরিবারের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুটি ট্রাকে করে প্রথমে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় সাবেক ইউএসডিপি (ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি) কার্যালয়ে। পরে জানা যায়, তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে একটি পুরনো পুলিশ ফাঁড়িতে।
আটক পরিবারের মধ্যে আছেন একজন পরিচিত কাপড়ের দোকানদার ‘উ অলম’। তারা প্রায় পাঁচ দিন আগে বাংলাদেশ থেকে ফিরে এসেছিলেন। এর আগে ২০২৪ সালে সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির হামলা থেকে বাঁচতে তারা পালিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশে। ওই হামলায় অনেক রোহিঙ্গা শহিদ ও বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন।
শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবন কাটানোর পর অবশেষে তারা নিজ গ্রামে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে, সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন আগেই ঘোষণা করেছিল, কেবল ২০২৪ সালের আগেই যারা পালিয়েছে, তাদেরই ফিরতে দেওয়া হবে। যারা ২০২৪ সালের সংঘর্ষ চলাকালীন বা পরবর্তীতে পালিয়ে গিয়েছে, তাদের ফিরতে দেওয়া হবে না।
২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা রোহিঙ্গা যুবকদের জোর করে সেনাবাহিনীতে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে অনেকের ঘরবাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে। আবার অনেকের ঘর দখলও করে নিয়েছে। এছারা বহু মূল্যবান সম্পত্তিও তারা বাজেয়াপ্ত করেছে।
এদিকে প্রতিটি রোহিঙ্গা গ্রাম ঘিরে বসানো হয়েছে চেকপয়েন্ট। এসব চেকপয়েন্টে রোহিঙ্গাদের চলাচলে কড়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে, আরোপ করা হয়েছে চাঁদা ও খাদ্য সরবরাহ জমা দেওয়ার নির্দেশ। অনেক রোহিঙ্গা দোকান, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির ওপরও উচ্চহারে কর বসানো হয়েছে। পাশাপাশি রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর পরিবারগুলোকে রোহিঙ্গা গ্রামে বসবাসের সুযোগ করে দিচ্ছে সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি।
সূত্র: এএনএ
উপমহাদেশ ডেস্ক
- উপমহাদেশ ডেস্ক#molongui-disabled-link
- উপমহাদেশ ডেস্ক#molongui-disabled-link
- উপমহাদেশ ডেস্ক#molongui-disabled-link
- উপমহাদেশ ডেস্ক#molongui-disabled-link