ইসরায়েলের নবনিযুক্ত সেনাপ্রধান ইয়াল জামির জানিয়েছেন, গাজায় চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫,৯৪২ জনে, আর আহত সেনার সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
জামির রবিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি চলতি মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনীর নতুন প্রধান হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
জামিরের দেওয়া তথ্য সেনাবাহিনীর আগে প্রকাশিত পরিসংখ্যানের সঙ্গে মিলছে না। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর দেশটির ৮৪৪ সেনা নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪০৫ জন নিহত হয়েছে গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর। আহতের সংখ্যা সেখানে দেখানো হয়েছে ৫,৬৯৬, যার মধ্যে ২,৫৭২ জন স্থল অভিযানের সময় আহত হয়েছে।
কিন্তু জামির জানিয়েছেন, যুদ্ধের কারণে ১৫ হাজারের বেশি সেনাকে শারীরিক ও মানসিক পুনর্বাসনের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া নিহত সেনাদের পরিবারভুক্ত হয়েছেন ৫,৯৪২ জন।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল সরকার যুদ্ধের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি প্রকাশ করছে না। কড়া সেন্সরশিপের কারণে আসল তথ্য আড়ালে রাখা হচ্ছে।
জামির তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘২০২৫ সালও যুদ্ধের বছর হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে এবং নিরাপত্তা মিশন বাস্তবায়নে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২২০ বিলিয়ন শেকেল (৬১.৫ বিলিয়ন ডলার) মূল্যের অস্ত্র ও সরঞ্জাম কিনেছে, যা সাধারণ সময়ের চেয়ে চার গুণ বেশি। এর মধ্যে ১৫০ বিলিয়ন শেকেল (৪২ বিলিয়ন ডলার) ব্যয় হয়েছে দেশীয় অস্ত্রশিল্পকে শক্তিশালী করতে।
এদিকে ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিয়োথ আহরোনোথ জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধের মোট ব্যয় ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা প্রতিদিন গড়ে ৮৩.৮ মিলিয়ন ডলার।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি