গাজার চলমান যুদ্ধে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইসরায়েলের অন্যতম এলিট সামরিক ইউনিট গোলানি ব্রিগেড। ইসরায়েলি পত্রিকা হাআরেতজ জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গোলানি ব্রিগেডের ১১৪ জন সেনা ও অফিসার প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েক হাজার। যুদ্ধের চাপ সামাল দিতে গিয়ে চরম ক্লান্তিতে ভুগছেন নিয়মিত সেনারা।
সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাতে পত্রিকাটি জানায়, ক্রমবর্ধমান হতাহতের পাশাপাশি নিয়মিত সেনাদের মধ্যে মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি এখন চোখে পড়ার মতো। হাআরেতজ–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এক ইসরায়েলি সেনা বলেন, ‘গত দেড় বছর ধরে গোলানি ব্রিগেড যুদ্ধক্ষেত্রে সফল হতে পারছে না।’
এর আগেও গোলানি ব্রিগেডে কর্মরত কয়েক ডজন সেনা এক যৌথ বিবৃতি দিয়ে গাজায় আটক ইসরায়েলিদের ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। এমনকি এর জন্য যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার দাবিও তোলেন তারা।
গাজার যুদ্ধে ব্যবহৃত রিজার্ভ সেনাদের মধ্যেও ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিও জানিয়েছে, সেনা কর্মকর্তাদের মতে, বর্তমানে প্রায় ৬০ শতাংশ রিজার্ভ সেনা দায়িত্ব পালন করছেন। আগের ৮৫ শতাংশ থেকে যা অনেক কম।
বিভিন্ন ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেনাসংখ্যার সংকট কাটাতে এমন সৈন্যদেরও যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হচ্ছে, যারা এখনো পূর্ণ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেনি। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, গোলানি ও গিবআতি ব্রিগেডের যেসব সদস্য মাত্র চার মাস আগে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে। এমনকি প্রশিক্ষণ এখনো সমাপ্ত করতে পারেনি, এমন সেনাদেরও গাজায় পাঠানো হয়েছে।
এর আগেই পত্রিকা ইদিয়োত আহরোনোত জানিয়েছিল, ইসরায়েলি সেনাপ্রধান এয়াল জমির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার মন্ত্রিসভাকে সতর্ক করে বলেছেন, সেনা সংকটের কারণে গাজায় রাজনৈতিক লক্ষ্য ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
সূত্র: এজি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link