নিউজনেস্ট

আপনি প্রতিদিন অজান্তেই প্লাস্টিক খাচ্ছেন!

আপনি প্রতিদিন অজান্তেই প্লাস্টিক খাচ্ছেন!
আপনি প্রতিদিন অজান্তেই প্লাস্টিক খাচ্ছেন! ছবি: আল জাজিরা

গত কয়েক বছরে বিজ্ঞানীরা এমন তথ্য আবিষ্কার করেছেন, যা আমাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে। ফুসফুস, হৃদযন্ত্র, লিভার, কিডনি; এমনকি গর্ভফুল ও রক্তে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। কীভাবে এসব প্লাস্টিক কণা আমাদের শরীরে পৌঁছাচ্ছে, কতটা ক্ষতি করছে এবং কীভাবে আমরা এ থেকে রক্ষা পেতে পারি, তা নিয়েই এবারের প্রতিবেদন।

কীভাবে প্লাস্টিক আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে?

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনন্দিন জীবনের অসংখ্য উৎস থেকে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে। ৫ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট এই কণাগুলো বাতাস, পানি, খাদ্য, প্যাকেজিং, কৃত্রিম কাপড়, টায়ার; এমনকি প্রসাধনী সামগ্রীতেও পাওয়া যায়। এগুলো আমরা হয় গিলে ফেলি, শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করি, অথবা সরাসরি ত্বকের মাধ্যমে সংস্পর্শে আসি।

প্রতিদিন আমরা কতটা প্লাস্টিক গ্রহণ করছি?

একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রতি সপ্তাহে আমরা গড়ে ৫ গ্রাম প্লাস্টিক গ্রহণ করছি। এটি প্রায় একটি ক্রেডিট কার্ডের সমান!

প্লাস্টিকের ক্ষতি কতটা গুরুতর?

প্লাস্টিক কণা জমা হয়ে আমাদের রক্তনালীর স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। এর ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং এমনকি মৃত্যুরও ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষত, যাদের ধমনীতে ব্লকেজ বা সংবহনজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য ঝুঁকিটা আরও বেশি।

ভবিষ্যৎ আরও ঝুঁকিপূর্ণ?

ফরাসি গবেষক ফ্যাবিয়ান ল্যাগার্ড জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের মানুষের শরীরে প্রায় প্রতিটি অঙ্গে প্লাস্টিকের উপস্থিতি রয়েছে। ২০৪০ সালে জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্য পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। মানুষের শরীরে প্লাস্টিকের উপস্থিতি ক্রমশ বাড়ছে। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।

ঝুঁকি কমানোর উপায়

আপনি হয়তো পুরোপুরি প্লাস্টিক থেকে মুক্তি পেতে পারবেন না, তবে কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করে এর ক্ষতি কমাতে পারেন।

১. প্লাস্টিক প্যাকেজিং এড়িয়ে চলুন।

২. প্লাস্টিক পাত্রে খাবার গরম করবেন না।

৩. প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি কাপড় ব্যবহার করুন।

৪. ঘর নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন।

প্লাস্টিক আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কিন্তু এর ক্ষুদ্র কণাগুলো যেভাবে আমাদের শরীরের গভীরে প্রবেশ করছে, তা বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। সচেতনতার মাধ্যমে আমরা এ থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পেতে পারি। আমাদের অভ্যাস বদলাতে হবে আজই।

স্বাস্থ্য ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত